সন্তানদের খাবারও শীতের পোশাক নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না মতিউরের ।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-কালামপুর-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়কের জালসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিউর রহমান উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামের মো. মিয়াব আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মতিউর রহমানের এক শিশু ছেলে ও এক মেয়ে বহুদিন হয় বায়না ধরেছে শীতের গরম কাপড়ের জন্য। সন্তানদের বায়না পূরণের জন্য প্রতিদিনই বাড়তি পরিশ্রম করছিলেন ভ্যানচালক বাবা মতিউর রহমান।
অন্য দিনের মতো শুক্রবার ভোরে ভ্যান গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান ভ্যানচালক মতিউর রহমান। দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিনি তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ জোগাড় করতে সক্ষম হন। মনের আনন্দে তিনি ছেলে ও মেয়ের জন্য শীতের দুটি গরম কাপড় ও চাল ডালসহ কিছু তরি-তরকারিও কিনেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাওয়ালীপাড়া বাজার থেকে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। আঞ্চলিক সড়কের জালসা এলাকায় পৌঁছলে রাত পৌনে ৯টার দিকে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা একটি সিএনজির ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাওয়ালীপাড়া বাজার সীমান্ত জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তিনি মারা যান। এরপরও ওই হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার পথেই মতিউর রহমানের মৃত্যু ঘটে। তাকে কোনো চিকিৎসাই দিতে পারিনি।
কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, ঘাতক সিএনজিটি খুঁজে বের করে চালককে আইনের আওতায় আনা হবে।